প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ খ্রিঃ তারিখ পাঁচগাছিয়া বীজ উৎপাদন খামার, বিএডিসি, মহিপাল, ফেনী দপ্তরের ২০২০-২১ইং উৎপাদন বর্ষের আমন ধান বীজ ফসলের গ্রো-আউট টেস্ট মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
সৈয়দ সরোয়ার জাহান ও জনাব মোঃ আওলাদ হাসান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় এবং মহাব্যবস্থাপক (বীজ), বিএডিসি, ঢাকা জনাব তপন কুমার আইচ মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান), বিএডিসি, ঢাকা জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ শহিদুল্লাহ শেখ, অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (খামার), বিএডিসি, ঢাকা। এ‘ছাড়া সদর দপ্তর থেকে আগত অতিথি বৃন্দ ছিলেন মোঃ ওবায়দুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক (বীজ পরীক্ষাগার), বিএডিসি, ঢাকা, জনাব দেবদাস সাহা, প্রকল্প পরিচালক (বীউ), বিএডিসি, ঢাকা আবুল খায়ের মোঃ নূরুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক (ডাল ও তৈল বীজ), বিএডিসি, ঢাকা, জনাব মোঃ কবিরুল হাসান, ম্যানেজার (বীপ্রস), বিএডিসি, ঢাকা, জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির, ম্যানেজার (কঃগ্রোঃ), বিএডিসি, ঢাকা।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন জনাব মোঃ ইদ্রিস মিয়া, যুগ্ম পরিচালক (বীপ্র), বিএডিসি, চট্টগ্রাম, জনাব মোঃ আজিম উদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক, (সুবর্নচর ডাল ও তৈল বীজ প্রকল্প), বিএডিসি, নোয়াখালী, জনাব মোঃ মাহমুদুল আলম, যুগ্ম পরিচালক (বীবি), বিএডিসি, চট্টগ্রাম জনাব সুপ্রিয় পাল, যুগ্ম পরিচালক (বীবি), অঃদাঃ, বিএডিসি, সিলেট ছাড়াও চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের বীজ ও উদ্যান উইং এর আওতাভূক্ত উপ সহকারী পরিচাল, সহকারী পরিচালক, সিনিয়র সহকারী পরিচালক, উপ পরিচালক ও যুগ্ম পরিচালক বৃন্দ। গ্রো-আউট টেস্ট মাঠ দিবসের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়ীত্বে ছিলেন যুগ্ম পরিচালক (বীপ্র), বিএডিসি, কুমিল্লা জনাব আনন্দ চন্দ্র দাস এবং বাস্তবায়নে জনাব মোঃ আওলাদ হোসেন সিদ্দিকী, সিনিয়র সহকারী পরিচালক(খামার), পাঁচগাছিয়া, ফেনী।
যুগ্ম পরিচালক (বীপ্র), বিএডিসি, কুমিল্লা তার স্বাগতবক্তব্যের মাধ্যমে মাঠ দিবস কার্যক্রমের সামগ্রিক তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। গ্রো-আউট টেস্টের জন্য আমন মৌসুমের শুরুতেই যুগ্ম পরিচালক (বীপ), বিএডিসি, ঢাকা দপ্তর কর্তৃক পাঁচগাছিয়া খামারে ১৪৬টি আমন ধান বীজের নমুনা প্রেরন করা হয়। যার মধ্যে ২০টি জাতের বিভিন্ন শ্রেনীর আমন ধান বীজের নমুনা ছিল। ফসলের জীবনকাল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ংঢ়ষরঃ করে মোট ৩টি ংঢ়ষরঃ এ (দীর্ঘ জীবনকাল, মধ্যম জীবনকাল ও স্বল্প জীবনকাল বিশিষ্ট) জাতের আমন ধান বীজ বপন করা হয়।
যাতে একইসংগে সকল জাত পরিপক্ক অবস্থায় আসে এবং যথাসময়ে মাঠ দিবসের অনুষ্ঠান করা যায়। পরবর্তীতে নমুনা বীজের চারা গুলো কোড নম্বর অনুযায়ী বিভিন্ন প্লটে রোপন করা হয়। গ্রো-আউট প্লটে ২০ সেঃমিঃ ঢ১৫ সেঃমিঃ দূরত্বে জাতভেদে ২৫-৩৫ দিন বয়সের ১টি করে ধানের চারা রোপন করা হয়। প্রত্যেক প্লটে ১০০০টি করে চারা রোপন করা হয়। সকল প্রকার আন্তÍঃপরিচর্যা যথারীতি সম্পন্ন করা হয়।
মৌসুমে তিনবার যথা অঙ্গঁজবৃদ্ধি, ফুলে আসার সময় এবং ফসল পাকার সময় খামারের অনুকূলে কর্মসূচী বাস্তবায়ন, তদারক ও পরিদর্শন কর্মকর্তাগন কর্তৃক সরেজমিনে গ্রো-আউট টেষ্টের প্লট পরিদর্শন করে বিজাত/অফটাইপের তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়।
মাঠ দিবসের অংশ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল অঞ্চল সমূহের বীজ উৎপাদন ও বিতরনের সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের আমন্ত্রন জানানো হয়।
গ্রো-আউট টেষ্টের চূড়ান্ত মাঠ পরিদর্শন শেষে যুগ্ম পরিচালক (বীপ), বিএডিসি, ঢাকা কর্তৃক ফলাফল ঘোষনা পূর্বক একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। ফলাফল মূল্যায়নে দেখা যায় যে, ১৪৬টি প্লটের মধ্যে ৫৫টি প্লটে ০% (৩৭.৬৭%),৬০টি প্লটে ০.১% (৪১.১০%) এবং ৩০টি প্লটে> ০.১-০.৫% (২০.৫৫%) এবং ০১টি প্লটে > ০.৫% (০.৬৮%) বিজাত/অফটাইপ পাওয়া গিয়াছে। যাহা সামগ্রিক ফলাফলের বিবেচনায় সন্তোষজনক।
ফলাফল বিশ্লেষনে সকল অঞ্চল থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের ২৪ জন কর্মকর্তা বক্তব্য রাখেন। প্রায় সকলেই সামগ্রিক কার্যক্রম এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন। প্রধান অতিথি ও মাননীয় সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান), বিএডিসি, ঢাকা মহোদয় তার বক্তব্যে বলেন ‘‘কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে সয়ম্ভরতা অর্জনে উন্নতমানের বীজ একটি গুরুত্বপূর্ন মৌলিক উপাদান।’’ দেশের চাহিদানুযায়ী উন্নতমানের বীজ উৎপাদন, সংগ্রহ, সংরক্ষন ও বিতরনের গুরুত্বপূর্ন দায়ীত্ব বিএডিসি’র উপর অর্পিত রয়েছে।
উল্লেখিত দায়ীত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের নিমিত্তে জাতের বিশুদ্ধতা নির্নয়, বীজের মাননিয়ন্ত্রন, অবনতিরোধ ও উত্তরোত্তর গুনগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতি মৌসুমে বেশ কয়েকটি খামারে নিয়মিত গ্রো-আউট টেস্ট কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইহা আর্ন্তজাতিক ভাবে স্বীকৃত একটি বীজমান নিয়ন্ত্রন ও বীজের জাত বিশুদ্ধতা পরীক্ষা কৌশল। তিনি গ্রো-আউট টেস্টের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিকার মূলক পদক্ষেপ গ্রহন করে সংশ্লিষ্ট সকলকে ভাল মানের বীজ উৎপাদনের ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ প্রদান করেন। সদস্য পরিচালক মহোদয় মাঠ দিবসের আনুষ্ঠানিক সামগ্রিক কার্যক্রম অত্যন্ত সফল ও স্বার্থকভাবে সু সম্পন্ন করার জন্য আয়োজনকারী ও বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
গ্রো-আউট টেষ্ট মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং মহাব্যবস্থাপক (বীজ) তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, পরীক্ষাগারের পাশাপাশি সরেজমিনে বাহ্যিক সাদূশ্যপূর্ন বীজের বিশুদ্ধতা সঠিকভাবে নির্নয় করে কারিগরি ও প্রশাসনিক প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করে শতভাগ ভাল বীজ তৈরী করা সম্ভব।
তাই, দেশের চাহিদা অনুযায়ী উন্নতমানের বীজ উৎপাদন, সংগ্রহ, সংরক্ষন ও বিতরনের ক্ষেত্রে সাফল্যের সাথে সরকার কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে কৃষির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন এই মৌলিক উপাদানটি কৃষকের হাতে তুলে দিতে পারলে খাদ্য নিরাপত্তা বলয় তৈরী সহ দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে আরো সমৃদ্বশালী করা যাবে বলে তিনি মনে করেন। সভাপতি মহোদয় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বীজ ও উদ্যান উইং এ কর্মরত এবং মাঠ দিবসে যোগদানকৃত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে আয়োজিত মাঠ দিবস কার্যক্রমের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন ও সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।